শুভেন্দুর সভাস্থলে ৩২ কেজি কাঠ , ১০ কেজি ঘি আর গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ করলো তৃণমূল !

21st January 2021 2:40 pm হুগলী
শুভেন্দুর সভাস্থলে ৩২ কেজি কাঠ , ১০ কেজি ঘি আর গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ করলো তৃণমূল !


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : শুভেন্দুর সভার পর সার্কাস মাঠ শুদ্ধিকরণের আয়োজন করলো তৃণমূল কংগ্রেস।  যা নিয়ে তৃণমূলকে কড়া কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য নেতা দীপাঞ্জন গুহ। বুধবার হুগলীর চন্দননগরের মানকুন্ডু সার্কাস মাঠে বিজেপির প্রকাশ্য সমাবেশ আয়োজিত হয়। যেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। সভার আগে চন্দননগর তালডাঙ্গা মোড় থেকে এক মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিলে "গোলি মারো" স্লোগান নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। গভীর রাতেই এই স্লোগানের জেরে গ্রেপ্তার করা হয় হুগলী সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ সহ দুই বিজেপি নেতা রবীন ঘোষ ও প্রভাত গুপ্তাকে। তৃণমূলের বক্তব্য বিজেপির ওই স্লোগান ও সভার জন্য চন্দননগর অশুদ্ধ হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চন্দননগর সার্কাস মাঠে শুদ্ধিকরন যজ্ঞের আয়োজন করে তৃণমূল।  এদিন মোট ৩২কেজি কাঠ, ১০কেজি ঘি ও বেশ কয়েক ঘরা গঙ্গার জল দিয়ে এই শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা দীপাঞ্জন গুহর বক্তব্য আমরা যারা বিজেপি করি তাঁরা সকলেই হিন্দুস্থানের বাসিন্দা। আমরা আবার কবে অচ্ছুৎ হয়ে গেলাম ? তাই চন্দননগর এর সংষ্কৃতিমনষ্ক বিধায়কের কাছ থেকে এহেন শুদ্ধিকরন যজ্ঞ মেনে নেওয়া যায় না। 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।